গণতন্ত্র হলো সর্বোচ্চ জুলুম নিশ্চিত করার সবচেয়ে ধারালো হাতিয়ার। ভারতের মুসলমানরা যদি গাজ্জার পরিস্থিতিতে পড়ে, আমরা কী করবো?
ধরে নেওয়া যাক, দুই দিন পর ভারতের মুসলমানদের অবস্থা যদি গাজ্জার মতো হয়—নির্যাতিত, অবরুদ্ধ, সাহায্যবিহীন—তাহলে আমরা, বাংলাদেশের মুসলমানরা কী করবো? আমরা কি কেবল মিশরের মতো সীমান্তে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেবো, মিছিল করবো আর চোখের জল ফেলবো? বাস্তবতা হলো, তখন যেই সরকারই ক্ষমতায় থাকুক—ড. ইউনুস হোন বা অন্য কেউ—তারা বলবে, "এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়"। কারণ তাদের দৃষ্টিতে জাতীয়তাবাদই বড়, উম্মাহ নয়।
এই জাতীয়তাবাদী মানসিকতাই মিশর, জর্ডানের শাসকদের শিথিল করে রেখেছে ফিলিস্তিনের ওপর হওয়া গণহত্যার সামনে। একই অবস্থা আমাদেরও হতে পারে। কারণ আমরা এখনো জাতিকে উম্মাহর অংশ হিসেবে নয়, কেবল ভৌগোলিক সীমার মধ্যে আবদ্ধ একটি জনগোষ্ঠী হিসেবে দেখি।
আমাদের প্রয়োজন এমন নেতৃত্ব, যারা মুসলমানদের দুঃখকে শুধু একটি দেশের সমস্যা বিচার করবে না—বরং উম্মাহর দুঃখ বলে দেখবে। যারা ফিলিস্তিন, কাশ্মীর বা আরাকানের মুসলমানদের সমস্যা আলাদাভাবে দেখবে না, বরং একসাথে দেখবে মুসলিম ভূমির ওপর আগ্রাসন হিসেবে। এই মানসিকতা কেবল খি-লা'ফত শাসনব্যবস্থার মাধ্যমেই আসতে পারে, যেখানে নেতৃত্ব কেবল একটি ভূখণ্ডের অভিভাবক নয়, বরং একজন খ'লিফার।
আজ যারা বাস্তব সমাধান খুঁজছেন, তারা জেনে রাখুন—উম্মাহর সবচেয়ে শক্তিশালী উইং হলো আমাদের সেনাবাহিনী। তারা যদি ইসলামের দিকে ফিরে আসে, তাহলে সীমান্ত আর মানচিত্র আমাদের থামাতে পারবে না। আমাদের সেনাবাহিনীর মধ্যে অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান রয়েছেন, যারা উম্মাহর কষ্টে কাতর, কিন্তু চেইন অব কমান্ডের বাধায় অসহায়। তাদের ইসলামের আহবানে ডাকা আমাদের দায়িত্ব। তাদের চেতনা জাগ্রত হলে, আল্লাহর ইচ্ছায় তারাই হবে উম্মাহর রক্ষাকবচ।
আজ যারা ভারতকে "নতুন ইসরাইল" হিসেবে দেখছেন, তারা যেন সমাধান নিয়েও ভাবেন। মিছিল, মানববন্ধন, প্রস্তাবনা বা বিবৃতির রাজনীতি ছেড়ে আমাদের দরকার এমন রাজনৈতিক চিন্তা—যার শেষ গন্তব্য খি'লা-ফত। আল্লাহর জমিনে আবারও ঐক্য ফিরিয়ে আনতে হলে, সেনাবাহিনীকেই ইসলামের পথে ডাকা হবে, এবং তাও শুধুমাত্র নিছক বক্তব্য নয়—সুনির্দিষ্ট কার্যক্রমের মাধ্যমে। সেনাবাহিনীর মধ্যে সাদ বিন মুয়ায এর মতো ব্যক্তিরা আছেন, যারা ইসলামের দাওয়ার হক্বদার। সেনাবাহিনীর সবাইকে মুরতাদ ও মুনাফিক ভেবে তাদের হক্ব নষ্ট করবেন না। চেষ্টা আপনার, যতদিন লাগার লাগুন, বিজয় দান করার মালিক আল্লাহ।
0 মন্তব্যসমূহ